প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
দেশীয় চলচ্চিত্রের বাজার ভালো নয়, নেই মান সম্মত ছবি, রয়েছে শিল্পী সংকট, সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন বিগ বাজেটের ছবি- এই রকম নানা অজুহাত দেখিয়ে টালিউড থেকে ঢালিউডে আমদানি করা হতে থাকে একের পর এক বাংলা ছবি। এটি বন্ধে, ঢাকাই ছবির শ্ল্পিীদের প্রতিবাদ, চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের বিরোধিতা কোন কিছুতেই যেখানে কাজ হচ্ছিল না, সেখানে দর্শকরা অনেকটাই স্পষ্ট করে দিচ্ছে এদেশে আমদানি করা কলকাতার ছবি নিয়ে তাদের অবস্থান।
শুধুমাত্র যৌথ প্রযোজনার ছবি ছাড়া কলকাতার আর কোন ছবি সুবিধা করতে পারেনি ঢাকার চলচ্চিত্র বাজারে । গত বছরের ঈদুল ফিতরের পর পর বাংলাদেশে মুক্তি পায় রাজা চন্দ পরিচালিত ভারতীয় বাংলা ছবি ‘কেলোর কীর্তি’। দেব, সায়ন্তিকা, অঙ্কুশ, কৌশানী, যীশু, নুসরাত অভিনীত ছবিটিতে কলকাতার নামি-দামী তারকারা থাকলেও সাড়া ফেলতে পারেনি দেশীয় ছবির ব্যবসায় ।
যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘বাদশা দ্য ডনে’র ব্যবসায়িক সাফল্যের পর কোটি টাকা খরচ করে ওপার বাংলা থেকে আমদানি করা হয় জিৎ অভিনীত ‘অভিমান’ ছবিটি । গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘অভিমান’ মুক্তি পায় বাংলাদেশে। আশা করা হচ্ছিলো জিৎ অভিনীত ছবিটি চমক দেখাবে, ঠিক তখনই হতাশ করে ‘অভিমান’।
১৭ মার্চ, ঢালিউডে মুক্তি পায় বনি ও কৌশানী নামের দুই নতুন মুখ অভিনীত এবং রাজিব পরিচালিত ‘তোমাকে চাই’ ছবিটি । ফিল্মপাড়া কাকরাইলের একাধিক বুকিং এজেন্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘তোমাকে চাই’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর দাঁড়ানোর আর কোন সম্ভাবনা নেই।
কাকরাইলের প্রতিনিধিরা জানান, ‘কেলোর কীর্তি’ এবং ‘অভিমানে’র চেয়েও খারাপ ব্যবসা করছে ‘তোমাকে চাই’। ‘তোমাকে চাই’ এর সাথে চিত্রব্যবসায়ীরা তুলনা করছেন ‘বেপরোয়া’র। গত ফেব্রুয়ারিতে এই নিম্নমানের ভারতীয় বাংলা ছবিটি আমদানির পর মুক্তি দেয়া হয়।
মূলত প্রদর্শকদের সংঘবদ্ধ অবস্থানের কারণে এদেশে ভারতীয় ছবিগুলো বিপুলসংখ্যক সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কিছুটা সাফল্য মিললেও কলকাতার নায়ক-নায়িকাদের প্রত্যাখ্যান করছে বাংলাদেশের দর্শকরা। এরপরও বন্ধ করা যাচ্ছে না কলকাতার ছবি আমদানি । এটি নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন চলচ্চিত্র শিল্পের লোকজন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস